নিরাপত্তা সেবা প্রত্যাশী সংস্থার জন্য
নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে কোন প্রত্যাশী সংস্থা আনসার অংগীভূত করতে পারেন।
(১) আবেদনঃ কোন প্রত্যাশী সংস্থা জেলা কমান্ড্যান্ট এর দপ্তরে রক্ষিত নির্দিষ্ট আবেদন ছক পূরণ করে তাঁদের দাপ্তরিক লেটার হেড প্যাডের সাথে সংযুক্ত করে জেলা কমান্ড্যান্ট এর দপ্তরে আনসার অংগীভূতির অনুরোধ পত্র দাখিল করবেন।
বিঃদ্রঃ আবেদন পত্রের সহিত আবশ্যিক সংযুক্তি সমূহ নিম্নরূপঃ
· মৌজা ম্যাপে জায়গা চিহ্নিত করণ।
· মৌজা ম্যাপে উল্লেখিত জায়গার সম্প্রসারিত স্কেচে, ভূমি, স্থাপনা এবং দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিবরণী।
· আনসার সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ।
· ভূমি অফিসের প্রত্যায়ন পত্র(মালিকানা সংক্রান্ত)।
· ১৫০/-(একশত পঞ্চাশ) টাকার নন- জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা।
· বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যবসা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দলিল-পত্রাদি।
· জমির মূল দলিল, পর্চা, খাজনা/ভূমি উন্নয়ন কর রশিদ ইত্যাদির সত্যায়িত ছায়ালিপি।
(২) বিভাগীয়পরিদর্শন ঃ আনসার প্রত্যাশী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদন ফরমে উল্লেখিত তথ্য -সমূহের সঠিকতা যাচাইকল্পে ও প্রস্তাবিত স্থানে আনসার অংগীভূত করা যাবে কিনা এ মর্মে সংশিষ্ট উপজেলা/থানা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা পরিদর্শন পূর্বক জেলা কমান্ড্যান্ট এর বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন। পরবর্তীতে সদর দপ্তরের স্মারক নংঅপাঃ/কেপিআই/৮৯০(৩)/৪০১/আনস্, তারিখঃ-০৩/০৪/১১ খ্রিঃ এর নির্দেশের আলোকে সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট আবেদিত স্থাপনা পরিদর্শন করে থাকেন।
উপজেলা/থানা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা এবং সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট কর্তৃক পরিদর্শন ইতিবাচক মতামত দাখিল হলে সংস্থায় আনসার মোতায়েন করার জন্য পরিচালক, আনসার ও ভিডিপি ঢাকা রেঞ্জ, ঢাকা মহোদয়ের মাধ্যমে সদর দপ্তর অপারেশন শাখায় অনুমোদন চাওয়া হয়।
(৩) চূড়ান্ত মোতায়েনঃ সদর দপ্তর অপারেশন শাখার অনুমোদনের আলোকে প্রত্যাশী সংস্থায় আনসার মোতায়েনের জন্য জেলা কমান্ড্যান্ট মহোদয় আদেশ জারী করেন।
(৪) সংস্থা হতে বেতন ভাতাদি গ্রহণ ও পরিশোধঃ কোন সংস্থায় আনসার অংগীভূতকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর উক্ত সংস্থাকে নির্ধারিত হারে আনসারদের তিন মাসের বেতন-ভাতার সমপরিমান অর্থ অগ্রীম হিসাবে নগদ, পে-অর্ডার/ব্যাংকড্রাফট এর মাধ্যমে জেলা কমান্ড্যান্ট এর দপ্তরে জমা করতে হয়। এছাড়া মাসিক নিয়মিত ভাবে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হয়। প্রতি বছর নির্ধারিত হারে দু’টি উৎসব বোনাস অংগীভূত আনসারদেরকে প্রদান করতে হয়।
(৫) ১০% আনুষঙ্গিক অর্থঃ আনসার প্রত্যাশী সংস্থা প্রত্যেক অংগীভূত আনসার সদস্যের দৈনিক ভাতার ১০% আনুষঙ্গিক অর্থ হিসাবে জেলা কমান্ড্যান্ট এর নিকট প্রদান করবেন।
(৬) অংগীভূতিরমেয়াদকালঃ প্রত্যাশী সংস্থা কমপক্ষে তিন মাসের জন্য আনসার নিয়োগ করবেন। সশস্ত্র হলে কমপক্ষে ১০ জন এবং নিরস্ত্র হলে ৬ জন আনসার অংগীভূত করা হয়।
আত্মকর্মসংস্থান মূলক প্রশিক্ষণ সেবা ঃ
নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে সারা বছর ব্যাপী আত্মকর্মসংস্থান মূলক প্রশিক্ষণে জেলা কার্যালয় হতে আনসার-ভিডিপি প্রশিক্ষণার্থী বাছাই ও প্রশিক্ষণ সম্পাদন করা হয়ে থাকে ঃ
১। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার-ভিডিপি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণার্থীর কোটা প্রদান করেন।
২। প্রাপ্ত কোটা মোতাবেক উপজেলা/থানা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা গণ ইউনিয়ন দলনেতা ও দলনেত্রীদের মাধ্যমে প্লাটুনভূক্ত সদস্য-সদস্যাদের মধ্য হতে যোগ্যতা সম্পন্ন প্রশিক্ষণার্থী প্রাথমিকভাবে বাছাই করে জেলা কমান্ড্যান্ট এর নিকট প্রেরণ করেন।
৩। জেলা কমান্ড্যান্ট উক্ত প্রশিক্ষণার্থীদের চুড়ান্ত বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করেন।
যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়
১।মৌলিক প্রশিক্ষণ সাধারণ আনসার(পুরুষ-মহিলা)।
২। মৌলিক প্রশিক্ষণ ভিডিপি (পুরুষ-মহিলা)।
৩। বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (পুরুষ-মহিলা)।
৪। সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ(মহিলা)।
৫। মোবাইল রিপিয়ারিং প্রশিক্ষণ (পুরুষ-মহিলা)।
৬। মটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ (পুরুষ)।
৭। নকশীকাঁথা তৈরী প্রশিক্ষণ (মহিলা)।
৮। গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ-ভিডিপি (পুরুষ-মহিলা)।
৯। ইলেকট্রিশিয়ান প্রশিক্ষণ-ভিডিপি (পুরুষ)।
১০। এছাড়াও ৪০টি বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
*উল্লেখ্য সকল প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীগণের থাকা-খাওয়া ও যাতায়াত ভাতা সরকারীভাবে বহন করা হয়। তৎসংগে প্রশিক্ষণের উপকরণ ও পোশাকাদি প্রদান করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস